অপরাধ কমাতে বেশ কিছু কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে চলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বুধবার দেশের বিভিন্ন রাজ্যের মেয়র এবং অ্যাটর্নি জেনারেলের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তিনি। বন্দুক আইন বদলের পরিকল্পনাও করছেন তিনি। তবে বাইডেনের পরিকল্পনায় খুশি নন রিপাবলিকানরা। বন্দুক আইন নিয়ে বাইডেনের ভাবনার সঙ্গে এখনো সহমত নন তারা।
২০২০ সালের তুলনায় ২০২১ সালের প্রথম কোয়ার্টারে অামেরিকায় খুনের ঘটনা ২৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। করোনাকালে চোখে পড়ার মতো বৃদ্ধি পেয়েছে অপরাধপ্রবণতা। হেট ক্রাইম থেকে শুরু করে খুন, ডাকাতি, ছিনতাই সবই বেড়েছে পাল্লা দিয়ে। এই বিষয়টিকেই কমাতে চাইছেন বাইডেন। কড়া আইন করে অপরাধীদের জেলে ঢোকাতে চাইছেন তিনি।
বুধবার মেয়রদের সঙ্গে বৈঠকের পর একটি ভিডিওবার্তা প্রকাশ করেন বাইডেন। সেখানে তিনি বলেন, অতিমারি নিয়ে লড়াই চলছে আমাদের। পরিস্থিতির সামান্য উন্নতি হয়েছে। তবে গরমে ফের একবার করোনার ঢেউ আছড়ে পড়তে পারে। এই পরিস্থিতির মধ্যে অপরাধপ্রবণতা বরদাস্ত করা হবে না। বাইডেনের বক্তব্য, সমস্যার উৎসে আঘাত হানতে হবে। এবং তার জন্য কড়া পদক্ষেপ নিতে হবে অস্ত্র ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে।
তার মতে, অ্যামেরিকায় বেআইনি অস্ত্র বিক্রির চক্র তৈরি হয়েছে। এবং অস্ত্র ব্যবসায়ীরাই এই কাজের সঙ্গে যুক্ত। মাত্র পাঁচ শতাংশ অস্ত্র ব্যবসায়ী গোটা অ্যামেরিকা জুড়ে তাদের বেআইনি অস্ত্রের ব্যবসা চালাচ্ছে। ফলে এই ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। কড়া অস্ত্র আইন তৈরি করা দরকার। পাশাপাশি বিভিন্ন শহরের মেয়রদের তিনি জানিয়েছেন, করোনার জন্য রাজ্যগুলিকে যে ফান্ড দেওয়া হয়েছিল, অপরাধপ্রবণতা বন্ধ করতে সে অর্থ তারা খরচ করতে পারে।
অ্যামেরিকায় অস্ত্র আইন নিয়ে বহু আলোচনা হয়েছে। ২০১২ সালে কানেকটিকাটের স্কুলে বন্দুকধারীর হামলার পর থেকে একাধিকবার এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। ওবামা প্রশাসনও কড়া আইন তৈরির চেষ্টা করেছিল। কিন্তু বার বার বাদ সেধেছে রিপাবলিকানরা। কড়া অস্ত্র আইন তৈরির বিরোধী তারা। বাইডেনের সঙ্গেও তারা সহমত নন। রিপাবলিকানদের বক্তব্য, পুলিশি ব্যবস্থা আরো ভালো করা দরকার। পুলিশের বাজেট বাড়ানো দরকার। তার মাধ্যমেই অপরাধপ্রবণতা কমানো যাবে। আলাদা করে অস্ত্র আইনের প্রয়োজন নেই।
তবে ডেমোক্র্যাটরা রিপাবলিকানদের সঙ্গে সহমত নন। এখন দেখার শেষপর্যন্ত বন্দুকের বিরুদ্ধে সত্যিই কোনো কড়া পদক্ষেপ বাইডেন প্রশাসন নিতে পারে কি না।
-রয়টার্স