“মহাসমুদ্রের শত বছরের কল্লোলরোলকে কেহ যদি এমন করিয়া বাঁধিয়া রাখিতে পারিতো যে সে ঘুমাইয়া পড়া শিশুটির মত চুপটি করিয়া থাকিতো,তবে সেই নীরব মহাশব্দের সহিত এই লাইব্রেরির তুলনা হইতো।” রবীন্দ্রনাথের এই কথাগুলো যেন মূর্ত হয়ে উঠেছে,
হাজার বছরের পুরনো সাহিত্যকর্মের সংগ্রহশালা বার্লিনের স্টেট লাইব্রেরি। যাকে বলা হয় গুপ্তধনাগার৷ প্রায় ২৫ মিলিয়নের এ সংগ্রহশালা বইপ্রেমীদের নিয়ে যায় ইতিহাসের স্বর্ণালী যুগে৷
ঐতিহাসিক এ গ্রন্থাগ্রারের একটি বিশেষ দিক হলো এর কোনো ডিজিটাল সংগ্রহ নেই৷ কোনো বিষয়ে পড়তে চাইলে আপনাকে সেখানে যেতে হবে স্বশরীরে৷
প্রায় একশ বছর আগে যখন এটি প্রতিষ্ঠা করা হয়, তখন আংটির মতো করে পড়ার টেবিলগুলো সাজানো ছিল৷ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ১৯৪১ সালে বোমার আঘাতে প্রায় ধ্বংস হয়ে যায় এটি৷
লাইব্রেরির পড়ার ঘরের ঘড়িটি প্রতিদিন রাত ১০ টা ২৫ মিনিটে বেজে উঠে৷ যুদ্ধ চলাকালে ১৯৪৪ সালে আবারো বোমার আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় গ্রন্থাগারটি৷ সে সময় ঘড়িতে বাজছিল রাত ১০ টা ২৫ মিনিট৷ বোমার আঘাতে ভবনের ক্ষতি হলেও সময়ের সাক্ষী হিসেবে বেঁচে যায় ঘড়িটি৷
লাইব্রেরিটিতে শিশু-কিশোরদের জন্য রয়েছে দুই লাখ বই৷ আর তাই বড়দের সাথে জ্ঞান আহরণের সুযোগ রয়েছে তাদেরও৷
২০০৪ সালে লাইব্রেরির পুনঃসংস্কার কাজে হাত দেয় সরকার৷ পুনর্গঠনের কাজে সময় লাগে ১৫ বছর আর খরচ হয় পাঁচশ’ ২৭ মিলিয়ন ডলার খরচ হয়৷